মাত্র ২ মিনিটের আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চারটি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার পর বাহুকা, ইটালি, চিলগাছা ও চর-চিলগাছা গ্রামে এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।
ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে কালো মেঘের মতো কিছু একপাশ থেকে ভেসে আসে। মুহূর্তেই ঝড় শুরু হয় এবং মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে পুরো চারটি গ্রামে তাণ্ডব চালায়। অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি উড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাহুকা গ্রামের বাসিন্দা শামিম হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির সময় আমরা ঘরের ভেতরেই ছিলাম। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে আমাদের ঘর উড়ে যায়। এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে।’
রতনকান্দি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জুবায়েল হোসেন জানান, শুধু চরচিলগাছা গ্রামেই প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউএনও অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. মেরাজ হোসেন মিসবাহ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাব। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য তালিকা করা হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি। তালিকা অনুযায়ী তাদের পূর্ণবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব ও জরুরি সহায়তা কার্যক্রম শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :