চুয়াডাঙ্গা জেলার পাঁচ থানার নাগরিকরা এখন থেকে আর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য থানায় নয় বরং যেকোনো স্থান বা যেকোনো সময় অ্যাপসের মাধ্যমে ঘরে বসেই সব ধরনের জিডি করতে পারবেন।
রোববার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে একযোগে জেলার পাঁচটি থানায় 'অনলাইন জিডি কার্যক্রম' আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা)।
এই কার্যক্রমের মাধ্যমে জেলার পাঁচ থানায় এখন থেকে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সকল প্রকার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যাবে।
এর আগে কেবল হারানো সংক্রান্ত জিডির সুবিধা ছিল, তবে এখন পূর্ণাঙ্গ জিডি সেবা ঘরে বসেই পাওয়া যাবে, যা নাগরিক ভোগান্তি অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।
পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, অনলাইন জিডি চালুর মাধ্যমে পুলিশি সেবাকে আরও আধুনিক ও সহজলভ্য করা হলো। এখন থেকে নাগরিকরা মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সহজেই অভিযোগ জানাতে পারবেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথেও সরাসরি অনলাইনে যোগাযোগ করা যাবে এবং জিডির সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, অনলাইন জিডির জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর এবং স্মার্টফোনে তোলা লাইভ ছবি।
ব্যবহারকারীদের প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘অনলাইন জিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর যেকোনো ধরনের জিডি যেমন হুমকি, নিখোঁজ, চুরি, উত্যক্তকরণ ইত্যাদি সহজেই করা যাবে।
পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা জেলার নাগরিকদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে বলেন, মিথ্যা, ভিত্তিহীন বা অসম্পূর্ণ তথ্য সম্বলিত জিডির ক্ষেত্রে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
তিনি প্রকৃত সত্য ঘটনা ও তথ্য সমৃদ্ধ সাক্ষ্য প্রমাণ সাপেক্ষে জিডি করার অনুরোধ জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই অনলাইন জিডি কার্যক্রম জনগণের জন্য পুলিশি সেবা ডিজিটাল ও অধিকতর স্বচ্ছ করার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস, সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :