ময়মনসিংহের ভালুকায় যুবদল কর্মী মো. মাহমুদুর রহমান মাহমুদকে (৪২) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি তানভীর আহম্মেদ শান্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এতে বিব্রত জেলা ছাত্রদল ওই ছাত্রনেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় যুবদল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় বিচার দাবি করেন নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন: জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আ. রউফ রুদ্র, সদস্য সাইফুল ইসলাম মানিক, মনির খান, উপজেলা যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম, মৎস্যজীবী নেতা সমর পাঠান, ওয়ার্ড যুবদল নেতা মাজাহারুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আজিজুল হাকিম আজিজ বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতেই ওই ছাত্রনেতাকে শোকজ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা পেলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।’
ভুক্তভোগী যুবদল কর্মী মো. মাহমুদুর রহমান মাহমুদের অভিযোগ, ‘গত মঙ্গলবার আমার কাছে টাকা চান ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি তানভীর আহম্মেদ শান্ত ও তার সহযোগীরা। আমি টাকা না দেওয়ায় ওই রাতে তারা আমাকে মারধর করে হেনস্থা করেন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু পুলিশ এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর আগেও ছাত্রনেতা শান্ত ভরাডুবা এলাকার এক যুবদল কর্মীকে মারধর করেছিলেন। কিন্তু বিচার না হওয়ায় তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি তানভীর আহম্মেদ শান্ত বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত। আমি উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক মোর্শেদ আলমের সমর্থক। অন্যদিকে যুবদল কর্মী মাহমুদুর রহমান মাহমুদ দল থেকে বহিষ্কৃত উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর অনুসারী। গ্রুপিং রাজনীতির কারণেই আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। মূলত স্থানীয় বিরোধের জের ধরে মাহমুদ হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি আমার আত্মীয়। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’
শোকজ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ছাত্রনেতা শান্ত আরও বলেন, ‘শোকজের জবাব দিতে আমি জেলা কমিটির কাছে এসেছি। আশা করছি, তারা আমার জবাবে সন্তুষ্ট হবেন।’
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘যুবদল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন