বগুড়ার ধুনটের শান্ত রেজা সাব্বির। তিনি গণঅভ্যুত্থানের আগে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আর বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা। সে সময়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছেন। আন্দোলনের সময় স্থানীয় ছাত্রদল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। সেই সাব্বিরই এখন খোলস পাল্টে যোগ দিয়েছেন ছাত্রদলে। বর্তমানে তিনি ছাত্রদলের পদপ্রার্থী।
রেজা সাব্বির উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের ভূবনগাঁতি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে থাকাকালীন তার বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো দেখা যায়। তার বাবা সেলিম রেজা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্রদল নেতারা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর শান্ত রেজা সাব্বির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব হন। আগে কখনো তিনি বিএনপি বা ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না—তার অতীত সম্পূর্ণ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
অতীতের পরিচয় গোপন রেখে তিনি ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। সাব্বিরের এই রূপান্তরে স্থানীয় ছাত্রদলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নেতারা প্রশ্ন করছেন, কে তাকে পুনর্বাসনে সহায়তা করছে এবং এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
-20250919121804.jpg)
উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম তৌহিদুল আলম মামুন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে সেলিম রেজা ও ছেলে সাব্বিরের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। সেই সাব্বিরই এখন ছাত্রদলের পদপ্রার্থী।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতীতেও ধুনটের অনেক ছাত্রলীগ নেতা সুবিধা নিতে বোল পাল্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন এবং পরে আবার ছাত্রলীগে ফিরে গেছেন। এরা মূলত সুবিধাবাদী। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বিষয়টি নিয়ে পরে মন্তব্য করার জন্য এড়িয়ে যান। শান্ত রেজা সাব্বিরের সাথেও যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন