আমি সব সময় একটা কথা বলি যে, জজের মন ও নারীর মন বোঝা কষ্টকর। কখন কোন দিকে টার্ন নেয়, আমরা জানি না। সুতরাং রায় না হওয়া পর্যন্ত রায় কি দেবে আমাদের কারোরই জানার কোনো সুযোগ নেই। যেদিন রায় হবে আমরা সেদিনই জানতে পারব বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বাংলা সাহিত্যে কবি গোলাম মোস্তফার অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগ একটা নিষিদ্ধ সত্তার নাম। আর নিষিদ্ধ সত্তার নামে যেকোনো ধরনের কর্মসূচি একটি অপরাধমূলক কর্মসূচি। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং সেভাবে এগিয়ে যাবে সরকার। শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ও নাশকতার ব্যাপারে আইনগতভাবে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেটি নেওয়া হবে।
তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলবে না। আমি মনে করি যে, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা আগে আওয়ামী লীগ করতেন তারাও বুঝেছেন যে, নিজে দলবল, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কেউ পালিয়ে যদি যায়, তাদের এই অগণিত কর্মী অরক্ষিত থাকে। সুতরাং কার ওপর ঝুঁকি নেবে এটা তারা বুঝবে।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গণভোট ইতিমধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো গ্রহণ করেছে। আমি এই সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার শুনানি করতে গিয়ে আদালতের সামনে বলেছি, শুধু এই বাংলাদেশে নয়। গোটা পৃথিবীর ইতিহাস বলে—একটা দেশের সংবিধান আইন কেমন হবে, সেটা নির্ধারণ করে সেই দেশের বিজয়ী শক্তি।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ঝিনাইদহের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ, রাজউকের সদস্য গিয়াস উদ্দিন ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা রানী দাস বক্তব্য দেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন