শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ১০:৪১ এএম

মাছ শিকারে গিয়ে ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ মনপুরার আবেদ

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ১০:৪১ এএম

নিখোঁজ জেলে আবেদ। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নিখোঁজ জেলে আবেদ। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শরিয়তপুর জেলার জাজিরায় কাচিকাটা নদীতে বন্ধুদের সাথে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে নৌ-পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন মনপুরার এক জেলে। গত ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ওই জেলে।

এদিকে, নিখোঁজ জেলেকে খুজতে শরীয়তপুরের জাজিরায় থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের নিকট যাওয়ার পরও সহযোগিতা পায়নি পরিবারের সদস্যরা। উল্টো হয়রানির শিকার হয়েছেন। এদিকে গত ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছেলের খোঁজ না পেয়ে পরিবারে চলছে শোকেরমাতম।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত নিখোঁজ জেলের কোন খবর পায়নি পরিবারের সদস্যরা। তবে শেষমেষ ছেলের মরদেহ পেতে আহাজারী করছে তারা।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮ টায় জাজিরা অঞ্চলের কাচিকাটা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের সময় নৌ-পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হন।

নিখোঁজ জেলে হলেন, মোঃ আবেদ(২০)। তিনি উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের কুলাগাজী তালুক গ্রামের বাসিন্দা আবুল বাশার মাঝির ছেলে।

জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর মনপুরার পাঁচ বন্ধু মিলে শরিয়তপুর জেলার জাজিরায় কাচিকাটা নদীতে হায়ারে মাছ শিকারে যায় নিখোঁজ জেলে আবেদ। কাচিকাটা নদীর লালবয়া নামক স্থানে জাল ফেলে মাছ শিকার করছিল।

এই সময় নদীতে নৌ-পুলিশের একটি টিম টহল দেওয়ার সময় তাদের ধাওয়া দেয়। পরে তার জাল ফেলে নৌকা চালিয়ে পালানোর সময় নৌপুলিশ ছড়া গুলি করে। এতে আবেদ সহ পাঁচ জেলে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে নদী থেকে নৌপুলিশ ৩ জেলেকে উদ্ধার করে।

নদীতে ঝাঁপ দেওয়া আবেদ ও মনছুর নিখোঁজ হন। পরে ছড়া গুলিতে আহত অবস্থায় মনছুরকে জেলেরা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কিন্তু আবেদ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তার খোঁজ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ জেলের বাবা বাশার মাঝি জানান, নিখোঁজ ছেলের খবর পেয়ে শরিয়তপুরের জাজিরায় গিয়ে থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের কাছে গিয়েছি। ছেলের খোঁজ পায়নি উল্টো হয়রানি হয়েছি। এমনকি নদীতে গিয়ে ছেলের খোঁজ করেছি। আজ পর্যন্ত ছেলের খোঁজ পায়নি বলে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। এই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আহাজারী করতে থাকেন।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, নিখোঁজ জেলে আবেদের বাবা থানায় এসেছিল। ঘটনাটি জাজিরাতে, তাই জাজিরা থানায় যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে জাজিরা থানায় যোগাযোগ রয়েছে নিখোঁজ জেলের সন্ধান পেলে তারা জানাবে।

এই ব্যাপারে শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুল জানান, ঘটনাটি থানার আওতায় হলেও জাজিরা নৌপুলিশের নিয়ন্ত্রণে। নৌ-পুলিশের সাথে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে। তবে থানায় কোন জিডি হয়নি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!