বগুড়ার ধুনটে চাঁন মিয়া নামের এক দিনমজুর কৃষকের তিনটি গরুসহ গোয়ালঘর আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের নিমগাছি (কোদালাপাড়া) গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন দিনমজুর কৃষক চাঁন মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিমগাছী কোদলা পাড়া এলাকার পোকরা প্রামাণিকের ছেলে গরিব ও অসহায় চাঁন মিয়া দিনমজুরি করে এবং পাশাপাশি তার স্ত্রী বাড়িতে গবাদিপশু লালনপালন করে সংসার চালাতেন। কিন্তু ষাটোর্ধ্ব চাঁন মিয়া বয়সের ভারে এখন আর ঠিকমতো দিনমজুরি করতে পারেন না। ফলে শুধু গরুর ওপর নির্ভর করেই তার সংসার চলত। মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতো গোয়ালঘরে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল জ্বালিয়ে রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে চাঁন মিয়া। রাত অনুমান ৩টার দিকে প্রতিবেশীদের চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে তার গোয়ালঘরে আগুন দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে গোয়ালঘরে থাকা ২টি গাভি ও ১টি বাছুর পুড়ে মারা যায়। এতে তার প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। এতে উপার্জনের একমাত্র সম্বল হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন দিনমজুর কৃষক চাঁন মিয়া।
ক্ষতিগ্রস্ত চাঁন মিয়া রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে ৪টা মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বয়স বাড়ায় এখন আর কাজ করতে পারি না। তিনটি গরুই ছিল আমার শেষ সম্বল। এর ওপর নির্ভর করেই অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছিলাম। আগুনে আমার একমাত্র অবলম্বন গরু তিনটি পুড়ে মারা গেছে। আমি এখন কীভাবে চলব ভেবে পাচ্ছি না বলেই কেঁদে দেন তিনি। এ অবস্থায় চাঁন মিয়া জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ধুনট থানার এএসআই সেলিম শেখ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি কয়েলের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতিলতা বর্মন বলেন, আমি ট্রেনিং এ আছি। প্রতিবেদনে আমার মন্তব্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সহযোগিতা করা হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাওয়ার যোগ্য হলে অবশ্যই পাবে।