বগুড়ায় মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী পদে প্রথম হয়েও ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় চাকরি না পাওয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসক (ডিসি)-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় বিবাদীদের কাছে কৈফিয়ত চাইলেও নির্ধারিত সময়ে জবাব না দেওয়ায় নিয়োগপ্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
মামলার বাদী শহরের মাটিডালী এলাকার বাসিন্দা শাহাদত হোসাইন। তিনি নামুজা এসএসআই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী পদে আবেদন করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তিনি ৩৪.৫০ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে নিয়োগ কমিটির স্বাক্ষরিত ফলাফলও তার হাতে পৌঁছে।
শাহাদতের অভিযোগ, ফল প্রকাশের পর ১৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুস্তম আলী তাকে ডেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৬ অক্টোবর স্থানীয় পত্রিকায় একই পদে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিষয়টি তিনি তৎকালীন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে জানাতে গেলে কথিতভাবে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে লিখিত অভিযোগও দাখিল করেন। কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না পেয়ে তিনি ৯ অক্টোবর প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা (নং–৭৩৯/২০২৫) দায়ের করেন।
আদালত বিবাদীদের সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিলেও তারা জবাব না দেওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেন বিচারক। আগামী ২০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযোগ সম্পর্কে অধ্যক্ষ রুস্তম আলী দাবি করেন, “চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে আমার দেখা পর্যন্ত হয়নি।” তবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নতুন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এদিকে ১৬ নভেম্বর দায়িত্ব হস্তান্তরের পর সাবেক ডিসি হোসনা আফরোজার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) শফিকুল ইসলাম টুকু বলেন, ডিসির ব্যক্তিগত নামে মামলা হয়নি; দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রায়ই ওঠে।


