শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম

চট্টগ্রামে দুজনের শরীরে ভয়ংকর জিকা ভাইরাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত দুইজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের একজন ৪২ বছর বয়সি পুরুষ এবং অপরজন নারী। মশাবাহিত এই ভাইরাসটি তাদের শরীরে শনাক্ত হয়েছে নগরীর একটি বেসরকারি ল্যাবের পরীক্ষায়।

সোমবার (৭ জুলাই) নগরীর এপিক হেলথ কেয়ারে তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় জিকা ভাইরাসের প্রাথমিক অস্তিত্ব শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার।

তিনি বলেন, ‘পুরুষ রোগীর জ্বর, শরীর ব্যথা এবং লালচে র‌্যাশ ছিল। নারীর ক্ষেত্রে হাত-পা ফুলে যাওয়া ও জ্বরের উপসর্গ দেখা গেছে। পরীক্ষায় কম্বাইন কিট ব্যবহার করা হয়েছে, যা একাধিক ভাইরাস শনাক্তে ব্যবহৃত হয়। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও পরীক্ষা প্রয়োজন।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ‘রোগীদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে।’

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসাই একমাত্র পদ্ধতি। এতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল খাবার গ্রহণ, জ্বর ও ব্যথা উপশমে ওষুধ সেবন জরুরি। উপসর্গ তীব্র হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, জিকা আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশেরই কোনো উপসর্গ থাকে না। বাকিদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে চামড়ায় লালচে র‌্যাশ, মাথাব্যথা, চোখ লাল হওয়া, মাংসপেশি ও গিঁটে ব্যথার মতো সমস্যা। সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ১২ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয় এবং তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। তবে এবারই প্রথম চট্টগ্রামে রোগটি শনাক্ত হলো, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং স্থানীয় পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরদার করা জরুরি।

Shera Lather
Link copied!