ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

‘ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের দেওয়া হবে’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৩:৩১ এএম
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। ছবি- সংগৃহীত

ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

রোববার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে তিনি বন্দরের ৪ নম্বর ফটকে এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন করেন এবং পরে সিপিআর ফটকে ভেহিকল ও কনটেইনার ডিজিটাল ডাটা এক্সচেঞ্জ সিস্টেমের উদ্বোধন করেন।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ (এনসিটি) তিনটি টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের ইচ্ছা, চলতি বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি, লালদিয়া এবং বে টার্মিনালকে প্রথম অপারেটরকে দিয়ে যাওয়া। ৩১ ডিসম্বরের মধ্যেই আমরা টার্মিনালগুলোকে প্রথম অপারেটরের কাছে হস্তান্তর করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই বলে আসছি, চট্টগ্রাম বন্দরকে গ্লোবাল র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানে রাখতে হবে। এজন্য সেরা অপারেটরদের নিয়ে আসা জরুরি। বর্তমানে বন্দরে নানা ধরনের সংস্কার কার্যক্রম চলছে। তবে আমরা প্রায়ই যে অভিযোগগুলো শুনি, তার মধ্যে দুর্নীতি ও হয়রানির বিষয়টি সবচেয়ে বেশি। সেটাও কমে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বন্দরের ক্যাপাসিটি চার-পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে। বন্দরের চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বড় বন্দরগুলোতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এজন্য কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে রেখে যেতে চাই।’

আশিক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগ পাওয়া বিদেশি অপারেটর আরএসজিটির (রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল) অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। তারা এখানে এসেছে, পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যদিও ডিপি ওয়ার্ল্ড বা এপিএমের মতো ৬০-৭০টি দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাদের নেই, তবুও বেশ কয়েকটি দেশে অপারেট করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এসে তারা নানা জটিলতার মুখে পড়েছে এবং সামগ্রিকভাবে অভিজ্ঞতাটি খারাপ হয়েছে।’ 

‘মূল সমস্যাটি হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার আগে কখনো আন্তর্জাতিক অপারেটরদের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি বা কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেনি।’