চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি বাবা নুরুজ্জামান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের পশ্চিম মায়ানী ঘড়ি মার্কেট এলাকায় মাকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজ বাবার হাতে খুন হন শাহেদ।
নিহত শাহেদ আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মায়ানী ইউনিয়নের শেখ আকনের বাড়ির মো. নুরুজ্জামান ও প্রথম স্ত্রী কামরুজ্জাহান দম্পতির একমাত্র ছেলে।
শাহেদের খালা নুর জাহান বেগম বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন নুরুজ্জামান। বিষয়টি জানার পর পরদিন বুধবার বিকেলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওই বাড়িতে যাই। এ সময় পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে নুরুজ্জামান তার প্রথম স্ত্রী আমার বোন কামরুজ্জাহানকে মারধর শুরু করেন। তখন ছেলে শাহেদ মাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে নুরুজ্জামান ছুরি দিয়ে তার বুকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শাহেদের মৃত্যু হয়।’
ঘটনায় নিহতের মা কামরুজ্জাহান বাদী হয়ে নুরুজ্জামানকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাত আরেকজনকে আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-৫) দায়ের করেন।
মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, ‘ঘটনার পর থেকেই আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালায়। প্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে সিলেট থেকে নুরুজ্জামান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন