চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। আগুন লাগার খবর পেয়ে আনসার-ভিডিপির ১০০ জন সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার তৎপরতায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয় করে আনসার সদস্যরা পানির সরবরাহ ও সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করেন। পাশাপাশি তারা ফায়ার সার্ভিস ও কারখানার কর্মীদের সহায়তায় আটকা পড়া শ্রমিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সহযোগিতা করেন। ফলে বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযানের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা কারখানার আশপাশে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বজায় রাখেন। আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিপুলসংখ্যক উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। আনসার সদস্যরা শৃঙ্খলা রক্ষা করে উদ্ধার কাজ নির্বিঘ্ন করতে সহায়তা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় কারখানাটিতে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সন্ধ্যার দিকে পুরো ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউ দাউ করে জ্বলা আগুনে আশেপাশের কয়েকশো মিটার পর্যন্ত দূরে আগুনের তাপ অনুভূত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি যোগ দেয়। কিন্তু আগুনের তীব্রতায় তারা একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত ভবনটিতে অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানি নামের দুটি প্রতিষ্ঠান আছে। ভবনটির আটতলা খালি। সাততলায় অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদাম। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। অ্যাডামস ক্যাপে টাওয়েল ও ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিকেল গাউনসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
এ ঘটনায় বেপজা ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বেপজার পক্ষ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উভয় কমিটি যথাক্রমে ৭ ও ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন