চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার রাঙ্গাদিয়া (সিইউএফএল) পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এবার তাকে বদলি করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলায় বদলি (পোস্টিং) দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘টাকা ছাড়া কথা বলেন না এএসআই সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে একাধিক ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠে আসে। সংবাদটি প্রকাশের পর পুলিশ প্রশাসনের অভ্যন্তরে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যাওয়া ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম ইমনের কাছে এএসআই সিরাজুল ইসলাম সরাসরি ৫ হাজার টাকা দাবি করেন।
ইমন অভিযোগ করেন, তিনি (এএসআই সিরাজ) বলেন, টাকা দিলে কথা বলেন, না হয় চলে যান।
একইভাবে, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে গিয়েও এক নারী ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১২ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জমি বিরোধ নিষ্পত্তির নামে বৈঠক বসিয়ে সালিশির বিনিময়ে টাকা নেওয়া, এমনকি সাধারণ নাগরিকের পকেট থেকে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ার মতো ঘটনাও প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠার পর স্থানীয়ভাবে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
নাম গোপন রেখে এক পুলিশ অফিসার বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এরপর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে এএসআই সিরাজুল ইসলামকে আনোয়ারা থেকে সরিয়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় বদলি করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছ থেকে ন্যায্য সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও সাহসী ও আশাবাদী হবে।
আনোয়ারা থানার ওসি মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, নির্ধারিত বদলির অংশ হিসেবে তাকে আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সন্দ্বীপে বদলি করা হয়েছে।
