নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নালা তৈরির নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন স্থানে কাদা মাটিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা।
গত এক মাস ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর অজুহাতে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে সামন্য বৃষ্টি হলেই ওই এলাকায় চলাচল করতে গিয়ে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জলাবন্ধতায় সৃষ্ট গর্তে গাড়ি উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। এছাড়াও একটু ভারি বৃষ্টি হলেই আশপাশের কয়েকটি মার্কেটের দোকানে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে দোকান মালিকদেরও ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় পানি নিষ্কাষনের জন্য ফুটওভার ব্রীজ থেকে শুরু করে শহীদ মজনু পার্ক পর্যন্ত নালা ও গুরুত্বপূর্ন ৪টি স্থানে আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য দরপত্র আহবান করে। পরে হাসমত এন্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৬৮লাখ টাকায় কার্যাদেশ পান। তার মধ্যে নালা তৈরিতে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পাওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণ কাজের শুরু থেকে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার আইয়ুব প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, নির্মাণ কাজ ধীরগতি হওয়ার কারণে মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। সামান্য বৃষ্টির পানি জমে এ এলাকায় একাকার হয়ে পড়েছে। পানি জমার কারণে এ পথ দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছেন।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ঔষধ ব্যবসায়ী রিপন হোসেন বলেন, পুরো মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বৃষ্টির পানি মহাসড়ক হয়ে নেমে জলাবদ্ধতা হয়। ময়লা আবর্জনা পানিতে মিশে দূর্ঘন্ধ সৃষ্টি হয়। পানি নামার ব্যবস্থা না রাখার কারণে এ অবস্থা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা হাসমত এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্তাধিকারী হাসমত আলী হাসু বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে তারা নির্মাণ কাজ করছেন। নালা তৈরির কাজ শেষের দিকে। পল্লী বিদ্যুতের চারটি বৈদ্যুতিক খুটি না সরানো কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। খুটি সরালেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.খোরশেদ আলম বলেন, খুঁটি সরানো আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে খুঁটি সরানোর কাজ চলছে। বৃষ্টিতে ধীরগতি হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যে খুটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। নির্মাণ কাজের সাইডে বৈদ্যুতিক খুটি সরানো বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতে আবেদন করা হয়েছে। খুঁটি সরিয়ে নিলেই দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :