বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, তারেক রহমান যাতে করে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে না পারে সেজন্য জামায়াত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী এই দলটি আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
জামায়াতকে মুনাফিকের সাথে তুলনা করে বরকতউল্লা বুলু বলেন, ১৯৯৬ সালে জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে জোট করে ১৭৩ দিন এই দেশে হরতাল পালন করেছে। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে তারা মাত্র ৩টি সিট পেয়েছেন।
১৯৪৭ সালের কথা উল্লেখ করে বুলু বলেন, ১৯৪৭ সালে জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয় নাই। তারা তখন অবিভক্ত ভারতের পক্ষে ভোট দিয়েছে। জামায়াত কখনো দেশের পক্ষে থাকে না, তারা সবসময় দেশের বিপক্ষে কাজ করে। আগামী নির্বাচন নিয়েও তারা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পিআর পদ্ধতিকে সামনে নিয়ে এসেছে।
বুলু বলেন, পিআর টিআর বুঝি না। আগে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে এই পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। অন্যথায় এই দেশের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
সেনাবাহিনী সম্পর্কে বুলু বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিছু শিশু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আবলতাবল বক্তব্য দিচ্ছে যা গ্রহণযোগ্য নয়। ১৯৯০ সালে সেনাপ্রধান নুরু উদ্দিন চাইলে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু তারা দেশপ্রেম হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ না করে সাহাবুদ্দিনের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়েছেন।
তিনি ডক্টর ইউনূছকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ডক্টর ইউনূছ দেশের জনগণের কথা বুঝতে পেরে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আশা করি, সেই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি নির্বাচিত সরকারই দেশের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে সুশাসন আসবে না। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে আওয়ামী লীগের আমলে দেশের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
বুলু আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী হয় না। একমাত্র খালেদা জিয়াই দেশের জন্য তার জীবন বিসর্জন দিতে চলেছেন। শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে স্লো পয়জন দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশকে একটি মানচিত্র দিয়েছেন।
বুলু বুধবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চৌদ্দগ্রাম এইচ.জে সরকারি পাইলট স্কুল মাঠে সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম রহমান ভূঁইয়া, জেলা সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদসহ আরও অনেকে।