ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-প্রার্থীর শোডাউন ঘিরে সাঘাটায় ১৪৪ ধারা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
সাঘাটা থানা। ছবি- সংগৃহীত

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বহিষ্কৃত নেতা, গাইবান্ধা-৫ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাতের মোটরসাইকেল শো-ডাউনকে কেন্দ্র করে সাঘাটায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও সম্ভাব্য সহিংসতা এড়াতে উপজেলা প্রশাসন সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও আশপাশ এলাকায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।’

গাইবান্ধা-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিল্পপতি ও বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত। এ নিয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয় এবং দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে দলটি।

মনোনয়ন না পেয়ে নিশাত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং তার সমর্থকদের নিয়ে মাঠে নামেন। অপরদিকে মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারও একই দিন নির্বাচনি মহড়ার প্রস্তুতি নেন। ফলে উভয়পক্ষই শো-ডাউনের ঘোষণা দিলে এলাকায় উত্তেজনা চরমে ওঠে।

বহিষ্কৃত নেতা নিশাতের নেতৃত্বে শত শত নারী-পুরুষ মোটরসাইকেল ও ট্রাকে করে সাঘাটা উপজেলা হয়ে বোনারপাড়া অভিমুখে যাত্রা করেন। এ সময় তাদের বহরের কিছু অংশ সাঘাটার হাপানিয়ার মোড়ে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং অন্তত ২০ জন আহত হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দেখে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও শো-ডাউন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে অনেকেই জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারার আদেশ জারির খবর পরে তারা জানতে পেরেছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা এলাকাজুড়ে টহল জোরদার করেছেন।