ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

আরএসএফের হামলার ভয়ে এল-ফাশের ছেড়ে পালাল ৩ হাজার পরিবার

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
আল ফাশের ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। ছবি- সংগৃহীত

সুদানের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশেরে র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস’র (আরএসএফ) হামলার ভয়ে ৩ হাজার ২৪০টি পরিবার শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় একটি সমন্বয় সংস্থা।

বিবৃতিতে জেনারেল কো-অর্ডিনেশন ফর ডিসপ্লেসড পারসন্স অ্যান্ড রিফিউজিস জানিয়েছে, প্রায় ১৬ হাজার ২০০ মানুষের খাদ্য, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, আশ্রয় সামগ্রী এবং মানসিক সহায়তা প্রয়োজন এই বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, বাস্তুচ্যুত বেসামরিকদের অবস্থার অবনতি ও মৌলিক চাহিদার ঘাটতির কারণে ক্রমেই আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ছে। 

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানোর পর গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ এল-ফাশের দখল করে নেয়।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, এল-ফাশের থেকে বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে অপুষ্টির ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর হিসাব অনুযায়ী, গত ২৬ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এল-ফাশের ও আশপাশের এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে ৮১ হাজারের বেশি মানুষ। 

এদিকে, যুদ্ধের ভয়াবহতায় গাজার পর আরেক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে সুদানের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশার। র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত ২৬ অক্টোবর শহরটি দখল করার পর ভয়াবহতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেখানে নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে।  

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, এল-ফাশেরে বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ‘অকল্পনীয় নৃশংসতা’ চালানো হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শহরের মোট ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৮২ হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। বহু মানুষ আটকা পড়েছে, নিরাপদে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।

শনিবার জাতিসংঘের সুদানে নিযুক্ত মানবাধিকার প্রতিনিধি লি ফাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, গত ১০ দিনে এল-ফাশেরে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। ১৮ মাসের অবরোধ ও সংঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংসতার মাত্রা কল্পনাতীত।