জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় দোকান দখলসংক্রান্ত ঘটনায় উপজেলা যুবদলের ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। সোমবার (২ জুন) বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জোনাইল পূজা ঘাঁটি এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন (পিতা: মৃত আব্দুস সামাদ), উপজেলা যুবদল সদস্য ও মোসলেমাবাদ এলাকার শফিকুল ইসলাম (পিতা. মৃত হায়দার আলী) এবং একই এলাকার যুবদল কর্মী সোহাগ মিয়া (পিতা. মৃত আবুল কাশেম)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে জোনাইল বাজারে সমবায় সমিতির কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকায় চারটি দোকান কেনেন চরনগর এলাকার শফিউল ইসলামের ছেলে নাজমুল হাসান ও আরও চারজন।
দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নাজমুল হাসান মনোহরি পণ্যের ব্যবসা করে আসছিলেন। তবে চলতি বছরের মার্চ মাসে অভিযুক্ত তিন যুবদল নেতাকর্মী দোকানগুলো জোরপূর্বক দখলে নেন এবং সেখানে ওএমএসের (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) চালের গুদাম তৈরি করেন।
দোকান মালিকরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও ফল না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেন। অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী সোমবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
রাতেই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের কেনা দোকান দখল করেছিল তারা। বহুবার অনুরোধ করেছি, তবু দোকান ফেরত দেয়নি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করি।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন এবং জেলা যুবদল নেতাদের অবহিত করবেন। দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্তে জেলা কমিটি নেব।
মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাদারগঞ্জ থানার ওসি হাসান আল মামুন আরও বলেন, আটককৃতদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান একটি মামলা করেছেন। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।