সাপ্তাহিক ছুটি হওয়া সত্ত্বেও শুক্রবার ও শনিবার (১১–১২ জুলাই) স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রয়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকেই কাস্টমস হাউস ও বন্দর সচল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় দুই দিন ছুটির মধ্যেও কাস্টমস ও বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে থাকবে।’
যুথী এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বন্দর ও কাস্টমসে কাজকর্ম চলছে ঢিমেতালে। বিশেষ করে অনেক ব্যবসায়ী আগে থেকে বিষয়টি না জানায় তাদের উপস্থিতি একেবারেই কম। তবে শনিবার উপস্থিতি বাড়তে পারে।’
এইচ এম শরিফুল ইসলাম জানান, ‘১০ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (কাস্টমস নীতি) মো. রইচ উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়েছে, অ্যাসাইকুডা ওয়াল্ড সিস্টেম (ASYCUDA World System)–এর ধীরগতির কারণে গত কয়েকদিন দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যচালান ছাড় প্রক্রিয়া কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে আগামী ১১ ও ১২ জুলাই (শুক্রবার ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও শুক্রবার ও শনিবার বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরের সব কার্যক্রম চলমান থাকবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কাস্টমস হাউজ ও বেনাপোল বন্দর সকাল থেকেই খোলা রাখা হয়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে অনেকে খোলা থাকার বিষয়টি না জানায় ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি কম। শনিবার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছি। খোলা রাখার বিষয়টি আগেভাগে জানাজানি হলে সবাই আরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পারতেন।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শুক্রবার ও শনিবার স্বাভাবিক সময়ের মতো বন্দরের কার্যক্রম চালু রেখেছি। কোনো ব্যবসায়ী পণ্য চালান খালাস নিতে চাইলে অবশ্যই নিতে পারবেন।’
আপনার মতামত লিখুন :