ঢাকা শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

চার মাস পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েও চাল আমদানি শুরু

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি রোধ করতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির অনুমতি দেওয়ায় চার মাস বন্ধ থাকার পর আবারও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে দাবি আমদানিকারকদের।

প্রথম চালানে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ভারতীয় ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার।

এই চাল আমদানি করেছেন বেনাপোলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজি মুসা করিম অ্যান্ড সন্স এবং রপ্তানিকারক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুধর্ম আয়াতনিরিয়াত প্রা. লি.। প্রতিকেজি চালের আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে দশমিক ৪০৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১ টাকার সমান। বাজারজাত করতে এর সঙ্গে পরিবহন, সরকারি শুল্ক, গুদামভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজী মুসা করিম এন্ড সন্স এর স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান গত মঙ্গলবার থেকে ভারতীয় ৯ ট্রাক ভর্তি ৩১৫ মেট্রিক টন মোটা চাল আমদানির জন্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষায় ছিল। ওই চালটি আজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পেট্রাপোল বন্দরে আরো চাল বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) বেনাপোল কাস্টমসে বিল অফ এন্ট্রি জমা দিয়ে ওই চাল ছাড় করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দিতে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে আবেদন আহ্বান করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করার শেষ সময় ছিল। সারা দেশের মতো বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা চাল আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

আমরা বেনাপোল স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক চালের বরাদ্দ পেয়েছি। আমদানির অনুমতিপত্র বা আইপি পাওয়ার পর অনেকে এলসি খুলেছেন যার বিপরীতে আজ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির অনুমতিপ্রাপ্ত আরো আমদানিকারকরা পর্যায়ক্রমে এলসি খুলছেন। ফলে আগামী রবিবার থেকে চাল আমদানি বাড়তে পারে।

চাল আমদানির ফলে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসবে। কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা দাম কমে যাবে। ভালো মানের চিকন জাতের চাল ৬৭ থেকে শুরু করে ৭০ টাকার মধ্যে থাকবে।’ স্বর্ণা জাতের চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে থাকবে বলেও জানান তিনি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘চার মাস বন্ধ থাকার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে আবারও ভারতীয় চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বন্ধের পর শুরুর প্রথম দিনে ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আরও অনেক ট্রাক চাল ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে।’

বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, চলতি বছরের গত ১৫ এপ্রিল এ বন্দর দিয়ে সর্বশেষ চাল আমদানি হয়। বৃহস্প্রতিবার থেকে আবারো চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এদিন ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় চাল আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত চালের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত সনদ প্রদান করা হবে যাতে দ্রুত ছাড়করণ নিতে পারেন।’