গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ‘সরকার কি আমাদের সব দলকেও ঐক্যকমতে নিয়ে যেতে পারবে?’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হওয়ার আগে আমরা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত হয়ে পরিবেশ নষ্ট করছি। সরকার যদি মনে করে দলগুলো এখনো পর্যন্ত আন্তরিক নয় এবং তারা আমাদের সহযোগিতা করছে না, সুতরাং আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে পারব না।’
রাশেদ খান আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় সরকারের ভেতরে একটা গ্রুপ রয়েছে, যারা মূলত নির্বাচন চায় না। তারা আমাদের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করে এই ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদি করতে চায়। তাদের আরও স্বপ্ন থাকতে পারে। বিশেষ করে সরকারের মধ্যে অদৃশ্য একটি সরকার আছে যারা কোনোভাবেই নির্বাচন চায় না। তারা চায় শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে।’
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় গণঅধিকার পরিষদ হরিনাকুন্ড পৌর শাখার আহ্বায়ক মোকলেছুর রহমান টোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের বিলবোর্ড ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মো. রাশেদ খান। পরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন।
নির্বাচনের আগের পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা প্রার্থী হচ্ছেন তারা যদি সহনশীল ও ধৈর্যশীল না হন, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন কমিশনের যে প্রতিবেদন সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, এমনকি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন শুধু কমিশন করলেই হবে না; যদি দলগুলো আমাদেরকে সহযোগিতা করে, তাহলে বাংলাদেশে ইতিহাসে সেরা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
রাজনীতির সৌন্দর্য দেখতে চান মো. রাশেদ খান। তিনি এ নিয়ে বলেন, ‘প্রার্থীদের মধ্যে ভালোবাসা দেখতে চাই। আমি দেখতে চাই আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া। আমি এই অঞ্চলের সন্তান। আমি কারও বিষোদগার করার জন্য এখানে আসিনি, পুরাতন রাজনীতি করার জন্যও আসিনি— আমি পরিবর্তনের রাজনীতি করার জন্য এসেছি। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ফিরে যেতে চাই না। আমরা সম্প্রীতি ও ভালোবাসার রাজনীতিই ঝিনাইদহে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
তিনি মন্তব্য করেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে যদি দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক না থাকে, প্রার্থীর সাথে প্রার্থীর সম্পর্ক না তৈরি হয়—তবে এটি সংঘর্ষমুখী নির্বাচন হবে। গণঅভ্যুত্থান আমাদের শিখিয়েছে আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ; আমরা একতাবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। আমরা যদি নির্বাচনের আগে নিজেদেরকে সংশোধন করতে না পারি, তাহলে আমি মনে করি আগামী নির্বাচন একটি সাংঘর্ষিক নির্বাচন হবে।’



