রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম

সেই ফেলানীর ছোট ভাই চাকরি পেলেন বিজিবিতে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম

ফেলানীর ভাই আরফান হোসেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ফেলানীর ভাই আরফান হোসেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন কিশোরী ফেলানী খাতুন। এবার সীমান্তের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলেন তার ছোট ভাই। এদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ফেলানীর ভাই আরফান হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।

লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই অত্র ব্যাটালিয়নে অনুষ্ঠিত বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।’

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিল বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে দেশবাসী ও বিজিবি সবসময় আমাদের পাশে ছিল। দোকান করে দিয়ে সহায়তা করেছে। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেয়েছে, এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।’

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের কুচবিহার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী খাতুন। সীমান্ত হত্যার সেই মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ফেলানীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ফেলানীর ছোট ভাইয়ের এই চাকরি যেন দীর্ঘদিনের চাপা বেদনার মধ্যে আশার আলো এনে দিয়েছে তাদের পরিবারে।

Link copied!