প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ২২ দিন মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের জেল, জরিমানা ও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলার ৪৪ হাজার ১৬৭ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
জেলে ও আড়ৎদারদের দাবি, ভরা মৌসুমেও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে তেমন একটা ইলিশ ধরা পড়েনি। এখন আর নদীতে গিয়ে জেলেদের পোষায় না। আগের তুলনায় ৪ ভাগের মধ্যে এক ভাগ ইলিশ পাওয়া যায়। চাল-ডাল ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগিতর কারণেই নদীতে নেমে খরচও উঠে না। এতে আহরিত মাছ বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তা না হলে জেলে ও আড়তদাররা না খেয়ে মরবে। আর এ চাল-ডাল-তেলের মূল্যের উর্ধ্বগতির ঘানি টানছে ইলিশ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান শুরু হবে। এসময় রামগতির আলেকাজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরণের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই নির্দেশনা জারি থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল ও উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৫৫ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এরমধ্যে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলার ৪৪ হাজার ১৬৭ জেলে পরিবারের মাঝে ১১০৪ মেট্টিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হবে। প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সদর ৫ হাজার ৭৫০ জন, রামগতিতে ২০ হাজার ৪১৭, কমলনগরে ১১ হাজার ৫০০ জন, রায়পুরে ৬ হাজার ৫০০ জন এ চাল পাবে।