বলিউডের ঝলমলে দুনিয়ার আলোয় দীপিকা পাড়ুকোন নিজেই আলাদা দৃষ্টান্ত তৈরি করছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বড় অঙ্কের পারিশ্রমিকের প্রলোভন এসেছে তার কাছে, কিন্তু টাকার চেয়ে বড় সত্যতা ও সততা।
দীপিকা জানান, মা হওয়ার পর থেকে তিনি প্রতিটি কাজ আট ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছেন। সেই কারণে একের পর এক বড় প্রজেক্ট থেকে বাদ পড়েছেন। তবুও, বড় বাণিজ্যিক ছবির প্রস্তাব এলে তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘কাজে কতটা সত্যতা আছে, সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। সততার অভাব থাকলে সেটা মানিয়ে নেওয়া যায় না। কিছু সময়ে মানুষ মনে করেছে, বড় অঙ্কের পারিশ্রমিকই যথেষ্ট। কিন্তু মোটেই তাই নয়।’
দীপিকা আরও বলেন, ‘বাণিজ্যিক দিক যত বড় হোক না কেন, যদি ছবিতে সত্যতা না থাকে, আমার কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। সত্যতা ও সততা থাকলে সবসময় পাশে থাকি।’
তিনি স্বীকার করেন, এই মুহূর্তের সিদ্ধান্তগুলো হয়তো ১০ বছর পর নিজের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। কিন্তু এখন যেটা ঠিক মনে হচ্ছে, সেটাই করছেন।
দীপিকা সম্প্রতি প্রভাস অভিনীত ‘স্পিরিট’ ও ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’র সিকুয়েল থেকে সরে এসেছেন। বর্তমানে তিনি শাহরুখ খানের ছবি ‘কিং’ নিয়ে ব্যস্ত।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে আর্থিক পরিসর বা বক্স অফিসের মাইলফলক আমার সিদ্ধান্তের মূল কারণ নয়। বরং উদ্দেশ্য, সৃজনশীলতা ও সততাই প্রধান। এখন আমি প্রকল্প বেছে নিই প্রবৃত্তি ও সততার ভিত্তিতে, পারিশ্রমিক নয়।’
দীপিকা নতুন প্রতিভাদের সমর্থন করতেও আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আমাকে এখন সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয় নতুন লেখক, নির্মাতা, এমনকি নতুন প্রযোজকদের পাশে দাঁড়ানো। বড় বাণিজ্যিক ছবি না হলেও যদি বার্তা বা মানুষটি বিশ্বাসযোগ্য হয়, আমি তার পাশে থাকব।’
তিনি অতিরিক্ত কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘মানুষের শরীর-মন সুস্থ রাখার জন্য আট ঘণ্টার কাজ যথেষ্ট। অতিরিক্ত কাজকে স্বাভাবিক ভাবা বন্ধ করা দরকার।’
দীপিকার এই দৃষ্টিভঙ্গি বলিউডে এখন নতুন আলো ও উদাহরণ হয়ে উঠেছে—টাকার চেয়ে বড় সত্যতা, সৃজনশীলতা ও সততা।

