ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এমতাবস্থায় মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা পাড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নদীতীরবর্তী এলাকায় আমন ধানের খেত ডুবে গিয়ে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প ডালিয়া (তিস্তা) ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ধারণা করছে, রাতের মধ্যেই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ অবস্থায় নদীসংলগ্ন নিচু এলাকাগুলোতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্কতা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, ‘সকালে টানা বৃষ্টি হয়েছে। এখন উজান থেকেও প্রচুর পানি আসছে। ইতোমধ্যে নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।’
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চন্ডিমারী ও গোবরধন এলাকাতেও একই চিত্র দেখা গেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, ‘নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে রাতে বাড়িঘরেও পানি ঢুকে পড়বে।’
ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টের লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে তা বিপদসীমার মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‘ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়েছে।’
‘ধারণা করছি, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা তীরবর্তী লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।’