উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গেছে। রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.১৫ মিটার, যা বিপৎসীমার সমান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ১৬ ঘণ্টায় নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শনিবার রাতেও পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল, কিন্তু রোববার সকালে তা বিপৎসীমায় পৌঁছে যায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
তিস্তা ব্যারাজের লেভেল রিডার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে পানির গতি দ্রুত হারে বাড়ছে। বর্তমানে তা বিপৎসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে।’
এরই মধ্যে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। গড্ডিমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা শামসুল আলম জানান, ‘সকালে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপর উজান থেকে পানি আসায় আমাদের বাড়িঘরের উঠানে পানি ঢুকে পড়েছে।’
আদিতমারীর মহিষখোচা ইউনিয়নের চন্ডিমারী ও গোবর্ধন এলাকাও আংশিকভাবে প্লাবিত হয়েছে। এতে বহু ধানক্ষেত পানির নিচে চলে গেছে, ফলে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উৎকণ্ঠা।
সিন্দুর্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি ওয়ার্ডে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লালমনিরহাট শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, ‘উজান থেকে ব্যাপক পানি আসছে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।’
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :