ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ভূতের বসবাস!

মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ছবি- সংগৃহীত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এখন যেন ভূতের আস্তানা। অফিসার আব্দুর রশিদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে অনিয়ম, গাফিলতি ও স্বজনপ্রীতির রাজত্ব।

যোগদানের পরপরই জনাব রশিদ নিজেকে পরিচয় দিতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক পরিচয়ধারী হিসেবে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কোনো ধরনের জবাবদিহিতা পছন্দ করেন না।

একাধিকবার স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর বিপদে ছিলাম, এখন আর কোনো জবাবদিহিতায় থাকতে চাই না। আপনারা যা খুশি করতে পারেন, তাতে আমি ভয় পাই না।’

তার সঙ্গে ‘সবাই’র যোগাযোগ আছে বললেও, কারা সেই ‘সবাই’ জানতে চাইলে বলেন, ‘আপনাকে বলার প্রয়োজন মনে করি না।’

অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ফ্যান ও বাতি চালু। কিন্তু অফিসার অনুপস্থিত। সহকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, ‘এসেছিলেন, কোথায় গেছেন বলতে পারি না।’ ফোনে যোগাযোগ করলে বলেন, ‘স্কুল পরিদর্শনে আছি।’ তবে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তিনি কোথাও নেই। এরপর ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।

দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অফিসে গিয়ে দেখা যায়, হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষরও নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায়। গাংনী উপজেলা অফিস তার বাড়ির একেবারে পাশে হওয়ায়, ‘হাওয়াই বারোটা বাজলেই’ অফিসে আর মন বসে না। কথিত আছে—এই অফিস যেন তার মামার বাড়ি!

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি অফিসিয়াল সফরে যশোরে আছি। 

জেলা প্রশাসক জনাব সিফাত মেহনাজ বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলুন।’ তবে ইউএনও না থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, ‘আব্দুর রশিদ যখন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে মনিটরিং অফিসার ছিলেন, তখনও তার বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল।’