ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

আইএমএফের প্রতিবেদন : প্রবৃদ্ধিতে পিছিয়ে মূল্যস্ফীতিতে এগিয়ে বাংলাদেশ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ১১:৫১ এএম
ছবি- সংগৃহীত

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে চড়া মূল্যস্ফীতির হারে এগিয়ে রয়েছে। ২০২০ সালের করোনা মহামারির আঘাত ও বৈশ্বিক মন্দার ছোবল থেকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও বাংলাদেশ এখনো পারেনি। পাঁচ বছর পরও চড়া মূল্যস্ফীতি ও নিম্ন জিডিপির প্রবৃদ্ধির গতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে ভুটানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ২ শতাংশ, নেপালের ৫ দশমিক ২ শতাংশ। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের সমান প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জন্য। দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। এর মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপ। তাদের প্রবৃদ্ধির পূর্ভাবাস দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, শ্রীলংকাতে গত বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের কোনো পূর্ভাবাস দেয়নি আইএমএফ। কারণ এর আগে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছিল। এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার এখনো বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি- ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ভুটানের মূল্যস্ফীতি হবে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, ভারতের ৪ শতাংশ, মালদ্বীপের ২ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালের ৪ দশমিক ২ শতাংশ। শ্রীলংকায় গত অর্থবছর মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছরে দেশটিতে কোনো মূল্যস্ফীতি নাও হতে পারে। মালদ্বীপ ও নেপাল জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানায় এগিয়ে রয়েছে।

প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামের মূল্যস্ফীতি হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ ও  ইন্দোনেশিয়ার ২ দশমিক ৯ শতাংশ। যা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম।