পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী ইমরান খান। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল পিটিআই’র প্রধান। এ জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছেন তিনি। ২০২৩ সাল থেকে কারাবন্দি অবস্থায় আছেন ইমরান খান। বুধবার (১৫ অক্টোবর) তাঁর বোন নওরীন খানের বরাতে বিষয়টি জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
নওরীন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইমরান খান আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে কষ্ট পেয়েছেন’ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তাঁকে এর জন্য প্যারোলে মুক্তি দিতে হবে।
ইমরান খানের এই প্রস্তাব এল এমন এক সময় যখন পাকিস্তানি বাহিনী সাম্প্রতিক কয়েক দিনে আফগান বাহিনী এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গ্রুপের হামলা প্রতিহত করেছে। পাকিস্তানি বাহিনী গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়। তার আগে, আফগান বাহিনী পাকিস্তান সীমান্তে গুলি চালায়।
তবে দুই পক্ষ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ায় আপাতত সংঘাত বন্ধ আছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, পাকিস্তান ৪৮ ঘণ্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সম্মত হয়েছে, যা স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি অভিযোগ করেছে যে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আফগানিস্তানভিত্তিক তেহরিক–ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সন্ত্রাসীদের দেশেই বসতি স্থাপনের সুযোগ দিয়েছিলেন। তাঁর সরকার পতনের পর এসব বসতি উচ্ছেদ করা হয় বলে দাবি এই দুই দলের।
পিটিআই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের নেতারা বলছেন, পরিকল্পনাটি শুধু আলোচনা সীমিত ছিল এবং বাস্তবায়িত হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিয়মিতভাবে তালিবান শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে আফগানিস্তানের মাটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ব্যবহার না হয়।