বিজেপিশাসিত গুজরাটে হঠাৎ একযোগে পদত্যাগ করেছেন রাজ্য সরকারের সব মন্ত্রী। বাদ আছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে সবকটি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের রাজনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্র্রী ভূপেন্দ্র পাটেলের ‘ভবিষ্যৎ’ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় রদবদলের কারণেই গণপদত্যাগ করেছেন মন্ত্রীরা। এ ছাড়া মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। বর্তমানে রাজ্য মন্ত্রীর সংখ্যা ১৭। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭ করা হবে। অর্থাৎ ১০ জন নতুন মন্ত্রী পাবে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর রাজ্য। এই মুহূর্তে রাজ্যটিতে একজনই মন্ত্রী অবশিষ্ট রয়েছেন, তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল। জানা গেছে, আজ রাতেই রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনিও।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, গুজরাটে বিধানসভা ভোটের আগে ‘প্রথা’ মেনেই মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজার কাজ শুরু করে দিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজ্যের মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার নতুন মন্ত্রীসভা ঘোষণা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তবে পুরনো মন্ত্রীসভার অন্তত অর্ধেক মন্ত্রীকে আর ফেরানো নাও হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে এবার রাজ্য মন্ত্রিসভার খোলনলচে আমূল বদলানো হবে বলে বিজেপি একটি সূত্র জানাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী গান্ধীনগরে শপথ নিতে পারে নতুন মন্ত্রিসভা। ২০২৭ সালের শেষ দিকে গুজরাটে বিধানসভার ভোট হওয়ার কথা। এর আগেই ‘ঘর গোছানোর কাজ শুরু করল বিজেপি।
বর্তমান মন্ত্রিসভার মেয়াদ প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে। সামনেই গুজরাটে পঞ্চায়েত স্তরে এবং পৌরসভা স্তরে নির্বাচন রয়েছে। তার আগে মন্ত্রিসভা নতুন করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। চলতি মাসেরই প্রথম দিকে গুজরাট বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জগদীশ বিশ্বকর্মাকে। তার আগে ছিলেন সিআর পাতিল, তিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।