যুদ্ধবিরতির শর্ত বাস্তবায়নে হামাস ব্যর্থ হলে, গাজায় ফের হামলা চালাতে ইসরায়েলকে অনুমতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৫ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হামাস নিরস্ত্র হতে অস্বীকার করলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি বললেই ইসরায়েল আবার রাস্তায় ফিরে যাবে। ইসরায়েল যদি চায়, তারা ওদের একেবারে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। আমিই ওদের এখন পর্যন্ত থামিয়ে রেখেছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে হামাসকে অবশ্যই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিহত অন্যদের মরদেহ ফেরত দিতে হবে এবং অস্ত্র জমা দিতে হবে।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা চুক্তি অনুযায়ী সব জীবিত বন্দিকে হস্তান্তর করেছি, পাশাপাশি যেসব মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলোও দিয়েছি।
হামাস জানায়, ‘বাকি মরদেহগুলো উদ্ধার করতে বিশেষ সরঞ্জাম ও দীর্ঘ প্রচেষ্টা প্রয়োজন’ এবং তারা ‘এই কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
এর আগে, গাজা চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ শুরুর ঘোষণা দেন মঙ্গলবার। তিনি বলেন, ২০ জন জিম্মি ফিরে এসেছেন এবং যতটা আশা করা যায় ততটা ভালো বোধ করছেন তারা। একটি বড় বোঝা উঠে গেছে, কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায় এখনই শুরু হচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজার ৯ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। লাগাতার বোমাবর্ষণে উপত্যকাটি এখন প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।