ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০২:৪৭ এএম

*** প্রতিদিন চলাচল করছে ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ

ঠাকুরগাঁও হরিপুরে কুলিক নদীর ওপর পুরোনো ও নড়বড়ে ৬০ মিটারের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়েই প্রতিনিয়ত চলাচল করেন হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো দিয়ে ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন স্থানীয়রা।

জানা যায়, উপজেলার ৬ নম্বর ভাতুরিয়া ইউনিয়নের ভুতডাঙ্গী, তাজিগাঁও, গোবিন্দপুর, ঝাঁরবাড়ি ও রাণীশংকৈল উপজেলার পার্তিপুর, দেহনাগর ও কোচল গ্রামের লোকজন প্রায় ২০ বছর ধরে ওই স্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কাজে গ্রামগুলোর কয়েক হাজার মানুষ এ সাঁকো ব্যবহার করেন।

ভুতডাঙ্গী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাঁকোর দুই পাশের মানুষ। প্রতিবছর বর্ষায় ভেঙে যাওয়া এ সাঁকোর পরিবর্তে বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া নতুন সেতুর আশ্বাসেও মেলেনি সুফল। কৃষিপণ্য পরিবহন, রোগী আনানেওয়া, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসায় ভোগান্তি চরমে উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি পানির স্রোতে ভেঙে যায়। তখন মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সাঁকো দিয়ে চলাচলে ভয় পায় শিক্ষার্থীরা। এ কারণে বর্ষায় অনেক পথ ঘুরে যেতে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। স্থানীয় কৃষক রমজান, মোকবুল, সোহেল ও আমিরুল বলেন, কুলিক নদীর দুই পাড়ে তাদের কৃষিজমি রয়েছে। জমি চাষাবাদের জন্য খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করি। কিন্তু বর্ষায় পড়তে হয় মহাবিপাকে। এ সময় সাঁকোর পরিবর্তে একটা ব্রিজের দাবি করেন তারা। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাজাহান সরকার বলেন, এই ঘাটে একটি ব্রিজের খুব প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।