ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সেই দুই ছাত্রী পাস

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
দুই ছাত্রী-সায়মা আক্তার ও লাবনী আক্তার। ছবি - সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সেই দুই ছাত্রী-সায়মা আক্তার ও লাবনী আক্তার-এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়।

গত ৩ জুলাই সকালে মায়ের মৃত্যুতে শোকাহত অবস্থায়ও পরীক্ষার হলে উপস্থিত হয় সায়মা ও লাবনী। পৃথক দুটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে তার আগের রাতে, ২ জুলাই দিবাগত রাতে। সায়মা আক্তার হাতিয়া গ্রামের মো. রায়হান খানের মেয়ে এবং লাবনী আক্তার কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২ জুলাই রাত ৩টার দিকে সায়মার মা শিল্পী আক্তার (৪০) নিজ বাড়িতে মারা যান। একই রাতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান লাবনীর মা সফিরন বেগম (৪৫)। মায়ের মরদেহ ঘরে রেখে পরীক্ষার হলে যাওয়ার সেই মুহূর্ত দুই পরিবারের সবার চোখে জল এনে দেয়।

সায়মা হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে। অন্যদিকে লাবনী সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অংশ নেয়।

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, সায়মার মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক। সে এবারের পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৭৫ পেয়েছে।

অন্যদিকে সানস্টার ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন বলেন, লাবনীর মানসিক দৃঢ়তা অনন্য উদাহরণ। মায়ের মৃত্যুর পরও সে পরীক্ষা দিয়েছে এবং জিপিএ ৪.৫৪ পেয়েছে। তার সাহস অনেকের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।