মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় অগ্নিসংযোগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সাথে সদর থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক অফিস লুট করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বিক্ষুব্ধ জনতা বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ তাণ্ডব চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও গণঅভ্যুত্থানের খবর শুনার পর পরই উল্লাসিত জনতা সুপার মার্কেট চত্বরে জড়ো হতে শুরু করে। সেখান থেকে সদর পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক অফিস ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে সদর থানা ও পৌরসভায় আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এতে পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, নাগরিক সনদ, কম্পিউটার, হাটবাজারের রেজিস্টার আদায়ের রশিদ, হিসাব শাখার চেক বই, সার্ভিস বহিসহ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সকল নথিসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পৌর কর্মকড়তাদের গাড়িও রক্ষা পায়নি আগুনের উত্তাপে।
আগুনে পুড়ে পৌরসভা ভবনও মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। এর আগে থানা থেকে পুলিশের পোশাক, গুলি সহ সকল কিছু লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
মুন্সীগঞ্জ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, পৌরসভা নাগরিকদের সেবা দেয়া যাচ্ছে না। পৌরসভার কার্ষক্রম কবে নাগাদ শুরু হবে তাও বলা যাচ্ছে না। পৌরভবন সহ পৌরসভার মূল্যবান সব নথি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আসলাম খান বলেন, থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক অফিস সম্পূর্ন অকেজো হয়ে গেছে। অস্ত্র ছাড়া সকল ধরনের জিনিসপত্রই লুট করা হয়েছে। সেবা দেওয়ার মতো কোনো অবস্থায় নেই। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। তাদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :