রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম

আজ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সেই আনিসা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম

পরীক্ষা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদছেন শিক্ষার্থী আনিসা।  ছবি- সংগৃহীত

পরীক্ষা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদছেন শিক্ষার্থী আনিসা। ছবি- সংগৃহীত

মায়ের অসুস্থতার কারণে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আনিসা। তবে আজ রোববার (২৯ জুন) বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সে। বর্তমানে তার মায়ের শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার শনিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আমি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলেছি যেন সে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে অংশ নেয়। সে জানিয়েছে, আজকের বাংলা দ্বিতীয়পত্রসহ বাকি সব পরীক্ষায় অংশ নেবে।

আনিসার প্রথম পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, আগে সে বাকি পরীক্ষাগুলো দিক। এরপর আমরা সময় নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি মানবিক সমাধানের চেষ্টা করব।

গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা না দিতে পেরে কেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে আনিসা। সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে তাকে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলেন।

পরদিন, শুক্রবার, শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী আনিসার বিষয়টি ‘মানবিক দৃষ্টিতে’ বিবেচনা করা হবে।

আনিসার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা তার বাসায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে পাঠিয়েছিলাম খোঁজ নিতে। আনিসার মা তখন বিশ্রামে ছিলেন, তবে পরে জানা গেছে তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।

আনিসাও জানিয়েছে, রোববারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে এবং বাকি পরীক্ষাগুলোতেও যথাসময়ে অংশ নেবে।

তিনি আরও বলেন, আনিসা আমাদের কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। টেস্ট পরীক্ষায় সে দুই বিষয়ে ফেল করেছিল, কিন্তু তাকে মূল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তার এসএসসি ফল ছিল মোটামুটি।

আনিসার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শিক্ষা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সহানুভূতির প্রতিফলন ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন সবার প্রত্যাশা-সে সফলভাবে বাকি পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করবে এবং মানবিক বিবেচনায় তার প্রথম পরীক্ষার বিষয়টিও সুষ্ঠু সমাধান পাবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!