ঢাকা রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে বাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণ, মৃত্যু বেড়ে ৭

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ছবি- সংগৃহীত

সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীনে মারা যান আসমা বেগম (৩৫)। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাতজনে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান এবং আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসমা বেগমের স্বামী তানজিল হোসেন তাঞ্জু জানান, ‘তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে আমার স্ত্রী আসমা এবং আমার কলেজপড়ুয়া মেয়ের জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমার শ্যালিকা সালমা বেগম, ভায়রা হাসান গাজী, তার মেয়ে জান্নাত, ছেলে রাইয়ান গাজী এবং শাশুড়ি তাহেরা বেগমকেও আমরা হারিয়েছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচার দাবি করছি।’

তিনি আরও জানান, আসমার মরদেহ নেওয়া হচ্ছে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চকবদন গ্রামে। সেখানে নিহত কন্যা তিশার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে।

এর আগে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব পাইনাদির জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে ঘটে এ মর্মান্তিক বিস্ফোরণ।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেই এই বিস্ফোরণের সূত্রপাত। এতে দুই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এখনো চিকিৎসাধীন দুই শিশু- হাসান গাজীর ১১ বছর বয়সি কন্যা মুনতাহা এবং আসমা বেগমের ১২ বছরের ছেলে আরাফাত হোসেন। মুনতাহা হারিয়েছেন তার বাবা, মা ও দুই ভাইবোনকে। আর আরাফাত হারিয়েছেন তার মা আসমা বেগম ও বড় বোনকে। বিস্ফোরণের সময় আরাফাতের বাবা তানজিল গাজীপুরে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাবাসী ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের গাফিলতিই এ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।