মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে এনসিপিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে 

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

এনসিপিতে পদ পাওয়া মো. আব্দুল হান্নান আকন্দ ও কমিটির তালিকা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এনসিপিতে পদ পাওয়া মো. আব্দুল হান্নান আকন্দ ও কমিটির তালিকা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে।

গত ১২ জুলাই এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্যসচিব (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রকাশিত ১৭ জনের ওই কমিটিতে রফিকুল ইসলাম শুভকে প্রধান সমন্বয়কারী ও মো. আব্দুল হান্নান আকন্দকে যুগ্ম-সমন্বয়কারী করা হয়।

এনসিপিতে পদ পাওয়া মো. আব্দুল হান্নান আকন্দ উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের ছয়াশি আহমদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দল বা তার অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না এবং কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। একই ধারার ২৫(৩) উপধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী নির্বাচন উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের প্রচারেও অংশ নিতে পারবেন না।

এ বিষয়ে এনসিপির মোহনগঞ্জ উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম শুভ বলেন, ‘সরকারি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর রাজনৈতিক দলের কমিটিতে থাকা ঠিক না। তবে আমাদের কমিটিতে আব্দুল হান্নান আকন্দ নামে একজন আছেন। তিনি সরকারি চাকরি করেন কি না জানি না। হয়তো তিনি পরিচয় গোপন করে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে দলীয় পদ বাগিয়েছেন। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান আকন্দ দাবি করেন, ‘এটা মূল কমিটি নয়। উপ-কমিটিতে সরকারি যেকোনো কর্মচারী থাকতে পারে। এখানে কোনো সমস্যা নেই।’

তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘সরকারি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকই রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল আজম বলেন, ‘বিষয়টি আজ (মঙ্গলবার) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন। ওই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে। নোটিশের জবাবের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Shera Lather
Link copied!