চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দগ্ধ আহমেদ উল্লাহ (৩৮)।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দগ্ধ আহমেদ উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়াও ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন আরও ৭ জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ওই ঘটনায় চিকিৎসাধীন ৭জন হলেন, বরকত উল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৫০), আল আমিন (৩৬), জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), মোহাম্মদ হাবিব (৩৬), আবুল কাসেম (৩৯) ও খায়রুল ইসলাম (২১)। এদের মধ্যে বরকত উল্লাহ ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ, আল আমিন ৮০ শতাংশ, জাহাঙ্গীর আলম ৭০ শতাংশ, হাবিব ৪৫ শতাংশ, আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ ও খায়রুল ইসলাম ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
শেখ হাসিনার বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা, এম এ আইয়ুব জানান, চিকিৎসাধীন ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, দগ্ধ ১২ জনের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এস এন করপোরেশন নামের জাহাজ ভাঙা কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ ও গুরুতর আহত হন ১২ শ্রমিক।
আপনার মতামত লিখুন :