শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম

প্রধান শিক্ষকদের চেয়ারে বসে পদত্যাগ দাবি করে ছাত্রের ফেইসবুক পোস্ট ভাইরাল

এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুমিল্লায় প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দলখ করে সেই চেয়ারে বসে ছবি তুলে পদত্যাগ দাবী করে ফেইসবুকে দেয়া ছাত্রের স্ট্যাটাস কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জানা যায়, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষকের চেয়ারে বসে ছবি তুলে সেটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিজ্ঞান বিভাগে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ইকরামুল হাসান নামের এক ছাত্র। মুহুর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ নানা মহলে সমালোচনার ঝড় উঠে বিষয়টিকে নিয়ে। পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে ছবিটি সরিয়ে নিয়েছে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্র।

ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা গেছে, টেবিলের ওপর প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের নেম প্লেট। আর সেখানে সাদা পোশাকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে আছে ওই ছাত্র।  ছবিটি প্রথমে নিজের ফেসবুকে আপলোড করে ওই ছাত্র লেখে, ‘আমাদের সু-সম্মানিত আলমগীর স্যার কোথায়।’

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে। পরে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, ওই শিক্ষক আওয়ামী লীগ করেন ও বিদ্যালয়ের অর্থে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তাই তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে।

খবর পেয়ে প্রথমে দেবিদ্বার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পরে দুপুরের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টির সভাপতি নিগার সুলতানা সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে ওই ছাত্র বলেন, ‘সবাই অফিস কক্ষ ত্যাগ করার পর আবেগে চেয়ারে বসে ছবি তুলি, এটা আমার ঠিক হয়নি, সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার ফেসবুক থেকেও ছবিটি বাদ দিয়েছি।’

এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। কোথাও এ দলের সদস্য পদও নাই। দেবিদ্বারে নাকি আমার দুটি বাড়ি আছে, তাও তাদের প্রমাণ দিতে বলেছি, ওরা প্রমাণ দিতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘ওরা হয়তো কারও ইন্ধনে ভুল বুঝে আন্দোলনে নেমেছে। অভিযোগ তদন্তের আগেই পদত্যাগে বাধ্য করা দেশে এখন যেন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিগার সুলতানা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমরা বিধি মোতাবেক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু প্রধান শিক্ষক অফিস থেকে বের হওয়ার পর তারই ছাত্র চেয়ারে বসে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দেয়ার যে ক্ষমাহীন দৃষ্টতা দেখিয়েছে- এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। কোন বিবেকবান ও সুস্থ ছাত্র এটা করতে পারে না।’

আরবি/জেডআর

Shera Lather
Link copied!