নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় কলেজছাত্র সাইমুনের বাড়িতে নাশতা নিয়ে আসেন তার প্রেমিকা ও তার আরেক বান্ধবী। মেয়ে দুটির সঙ্গে কথা বলার মাঝে হঠাৎ নিজ বসতঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দেয় প্রেমিক সাইমুন (২০)।
স্বজনরা বলছে প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্য থেকে সাইমুন আত্মহত্যা করেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের মানিক্যনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইমুন সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের মানিক্যনগর গ্রামের আমজাদ বেপারী বাড়ির প্রবাসী মিজানের ছেলে।
নিহতের বড় চাচি জুবাইদা খাতুন বলেন, সাইমুনকে মেয়ে দুটির সঙ্গে নাস্তা করতে দেখে আমি রান্না করতে যাই। পরে আমার ছোট ছেলের চিৎকার শুনে আমি সেখানে গিয়ে সাইমুনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। তাৎক্ষণিক সবাইকে ডেকে গলার রশি কেটে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইমুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে, সাইমুন গলায় ফাঁস দেওয়ার সময় মেয়ে দুটি বাইরে ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে, এই ঘটনায় এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে মেয়ে দুটিকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোর্শেদ আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন