শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০২:০৬ পিএম

দশমিনার যে স্কুলে সবাই ফেল

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০২:০৬ পিএম

দশমিনা পূর্ব আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।    ছবি- সংগৃহীত

দশমিনা পূর্ব আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় দশমিনা পূর্ব আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে চলতি বছরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এর মধ্যে কেউ পাস করতে পারেনি। এত প্রশ্ন উঠেছে ওই বিদ্যালয় শিক্ষার মান নিয়ে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত বরিশাল বোর্ডের এসএসসি ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে।

জানা গেছে, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষায় দশমিনা পূর্ব আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অংশ নেয়া ৮ জন শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছে, যার ফলে ওই বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে। প্রশ্ন উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়টির একাধিক অভিভাবক বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা নমনীয়, নইলে এর আগের বার ২৫ জন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভালো রেজাল্ট করে পাস করেছে। আমারা মনে করি ওই বিদ্যালয় শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়টা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে একটু দেখা উচিত।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিক্ষক দের উদাসীনতায় প্রতিষ্ঠানটির পড়ালেখার মান থমকে গেছে। তারা যদি ঠিক ভাবে ছাত্রদের প্রতি খেয়াল রাখতেন তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল এসে লেখাপড়ায় মন বসত।

তারা শুধু স্কুলে যায় আসে মাস শেষে বেতন নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করে। এছাড়াও ৯ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে পাঁচজন ছাত্রীর বিবাহ হয়েছে। শিক্ষকদের গাফিলতি না থাকলে এমন অবস্থা হওয়ার কথা না।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি স্কুলটা সেটা হলো শিক্ষার মান মর্যাদা থাকে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামীম হোসেন জিলানী বলেন, এ বছর আমাদের বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেক১০ জন রেজিস্ট্রেশন করেছে তার মধ্যে ফরম ফিলাপ করছে ৯ জন এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৮ জন। আমাদের বিদ্যালয়টি ২০২৩ সালে নুতন পাঠদানের অনুমোদন পেয়েছি। এর মধ্যে গতবার আমাদের বিদ্যালয়ের দিয়ে ২৪ জনের মধ্যে ২০ ভালো রেজাল্ট করলেও এ বছরই দ্বিতীয়বারে একজনও পাস করেনি। এর কারণ টেকনিক্যাল ও খাতা পত্রে কোন সমস্যা হতে পারে।

এ ছাড়াও আমার বিদ্যালয়ের গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নেই। তার মধ্যেও আমরা পাঁচজন দিয়ে সকল স্কুলে পরিচালনা করে পাঠদান নিয়ে থাকি।

দশমিনা উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মু . নেছার উদ্দিনকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তার পাওয়া যায়নি, তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!