রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে সড়কের ‘১০ কিলো’ নামক এলাকায় দুইটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়লে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে মারিশ্যা ও আশপাশের এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই সড়কে পাহাড় ধস নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সামান্য ভারী বৃষ্টিতেই সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। বাঘাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে বাইরে যোগাযোগের এটি একমাত্র সড়ক হওয়ায়, বিকল্প কোনো পথ না থাকায় স্থানীয়রা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
একজন বাসচালক মো. নুরুল আলম বলেন, বর্ষা এলেই আমাদের সড়কের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয়। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই পাহাড় ধসে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। অনেকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। আমরা চাই সড়কের স্থায়ী সমাধান হোক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৯৯২ সালে নির্মিত এই সড়কটি প্রথমে ইটসলিং এবং ১৯৯৫ সালে কার্পেটিং করা হয়। এরপর থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে চরম অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা দেখা গেছে। ফলে সড়কটি এখন অনেকটা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
বাঘাইছড়ির মারিশ্যা থেকে শুরু করে দীঘিনালার দিকে যাওয়ার পথে সড়কের ১০ নম্বর এলাকা থেকে বাঘাইছড়ি পৌরসভা পর্যন্ত অংশটি সবচেয়ে বিপজ্জনক। স্থানীয়রা বারবার এই সড়ক সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো দীর্ঘস্থায়ী উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকছুদুর রহমান জানান, টানা ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ফলে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সড়ক বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। বিকালের মধ্যেই সড়ক চলাচলের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে সড়ক সচল করলেও বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত পাহাড় ধসের বিষয়টি মাথায় রেখে স্থায়ী সমাধানের দিকে সরকারের মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :