রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পুত্র মাওলানা শামীম বিন সাঈদি। বাবার ইচ্ছা পূরণের অংশ বিশেষ ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে বিজিবি ও পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদদের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত এবং পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন তিনি।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের লতিবপুর পশ্চিম পাড়ায় মিঠাপুকুরে প্রথম নিহত সাদিকুর রহমানের বাড়িতে এবং পরে মির্জাপুর গ্রামে লাভলু শাহর বাড়িতে যান তিনি। তার সঙ্গে মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের আমির আসাদুজ্জামান শিমুলসহ ভাংনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সাঈদি পুত্র শামীম বিন সাঈদি সাংবাদিকদের জানান, জালিম সরকারের পাতানো রায়ের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুরের জনগন যে আত্মত্যাগ শিকার করেছে তার জন্য আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। বাবা বেঁচে থাকলে হয়তোবা আজকে মিঠাপুকুরে শহিদ ভাইদের বাড়িতে আসতেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য বাবাকে তারা বাঁচতে দেয়নি। আমি যখন এখানে এসেছি তখন জানতে পারলাম মিঠাপুকুরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কি পরিমাণ অন্যায় অত্যাচার জুলুম করেছে।
শহিদদের পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না, আপনাদের সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে হাসিনা সরকারের আজকের এই পতন। মিঠাপুকুরের মাটিকে উর্বর করেছে এই শহিদ ভাইয়েরা।
শহিদ সাদিকুলের বাবাকে জড়িয়ে ধরে শামীম বিন সাঈদি বলেন, আমিও একজন শহিদের সন্তান। আমি আপনাদের কষ্ট বুঝতে পারছি। এসময় এক আবেগময় পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং ২০১৩ সালের ঘটনার বিবরণ শুনে উপস্থিত সকলে হাউমাউ করে কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন সময় পুলিশ ও বিজিপির গুলিতে মিঠাপুকুরে ১৩ জন জামায়াত-শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :