বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১২:০১ এএম

স্বামীকে থানায় খাবার দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১২:০১ এএম

হালুয়াঘাট থানায় স্বামীকে খাবার দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্ত্রী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

হালুয়াঘাট থানায় স্বামীকে খাবার দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্ত্রী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় স্বামীকে খাবার দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে গ্রেপ্তার আব্দুর রশিদের জন্য স্ত্রী জাহানারা বেগম থানায় খাবার নিয়ে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বিকেলে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার ধারা ইউনিয়নের কলনীপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদ (৫৫) ও জাহানারা বেগম (৫০)।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর ইসলাম স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কলনীপাড়া এলাকার শরীফা খাতুন বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বাদী শরীফাকে নিয়ে বিবাদীর বাড়িতে যান। এ সময় দু’পক্ষ পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঝগড়া থামাতে গিয়ে এসআই শহিদুল ইসলামের চোখের কোণে অসাবধানতাবশত আঘাত লাগে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর ইসলাম হারুনকে অবগত করেন। পরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ্র সাহা ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে সিআর মামলার বিবাদী আব্দুর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় আব্দুর রশিদকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শরীফা একজন অসাধু মাদক ব্যবসায়ী। এই নারীকে নিয়ে এলাকাবাসী বিপাকে। গত সোমবার এক মামলায় পুলিশ তদন্তে আসলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাদী শরীফা আব্দুর রশিদকে চড়, থাপ্পর ও লাথি মারে। এ সময় রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফার দিকে তেড়ে গেলে এক পুলিশ সদস্যের গায়ে আঘাত লাগে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাফ চেয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছিল। পরে আবার কেন গ্রেপ্তার করা হলো, বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে না।’

উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ওসি হাফিজুর ইসলাম হারুন জানান, ‘পুলিশকে মারধরের ঘটনায় (এসআই) শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালতের নির্দেশে স্বামী–স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Link copied!