চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি এলাকায় সমাবেশের আড়ালে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার ও বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পুঁইছড়ি এলাকার বাসিন্দা শেখ ইয়াছিন আরফাত চৌধুরী ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে তিনটি রেজিস্ট্রিযুক্ত দলিলের মাধ্যমে মোট ৩২০ শতক জমি ক্রয় করেন। কেনার পর থেকে তিনি ও স্থানীয় চাষিরা ওই জমিতে কৃষিকাজ করে আসছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতা সোলতানুল আজিম ওই জায়গাগুলো দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ অক্টোবর নিজ বাড়িতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ আয়োজন করেন তিনি। অভিযোগ অনুযায়ী, ওইদিন সমাবেশ শেষে স্কেভেটর দিয়ে জায়গাগুলোতে পুকুর খনন শুরু করা হয়।
ঘটনার দিন সোলতানুল আজিম তার ফেসবুক পেজে সমাবেশের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘জাতীয়তাবাদী পরিবার পুঁইছড়ি। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল— আমার বাংলো বাড়িতে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ সাংগঠনিক কার্যক্রমের মতবিনিময় সভা।’
শেখ ইয়াছিন আরফাত বলেন, ‘আমরা ১৯৮৮ ও ১৯৯২ সালে জমিগুলো কিনে দখলে আছি। এত বছর কেউ আপত্তি করেনি। কিন্তু গত ৪ অক্টোবর বিএনপি নেতা সোলতানুল আজিম বিএনপির সমাবেশের আড়ালে আমাদের জমিতে স্কেভেটর দিয়ে পুকুর খনন শুরু করেছেন। তার যদি কোনো দাবি থাকে, কাগজ দেখাক; কিন্তু তা না করে সমাবেশে ডেকে আনা লোকজন নিয়ে জোর করে জায়গা দখল করেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সোলতানুল আজিম বলেন, ‘ওই জায়গাগুলো আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা ১৯৮৬ সাল থেকে আমাদের জায়গাগুলো দখল করে রেখেছে। এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি, তারা আদালতে যাক— আমরা থানায় বসব না।’
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পুঁইছড়িতে একটি জায়গা দখলের অভিযোগ পেয়েছিলাম। অভিযোগের ভিত্তিতে একজন অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে আলোচনায় বসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, তবে সোলতানুল আজিম বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে বসবেন না এবং অভিযোগকারীকে আদালতে যেতে বলেছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন