বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:০৩ পিএম

সুন্দরবনে ভারতীয় জলদস্যুদের হাতে ৬ জেলে অপহরণ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:০৩ পিএম

সুন্দরবনে ভারতীয় জলদস্যুদের হাতে ৬ জেলে অপহরণ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সুন্দরবনে ভারতীয় জলদস্যুদের হাতে ৬ জেলে অপহরণ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাতক্ষীরার সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় জলদস্যু বাহিনী ৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী মামুন্দো নদীর মারডাঙ্গা খাল ও বৈকেরি নদীর সংযোগস্থল সংলগ্ন হরিণটানা খাল তাদের অপহরণ করা হয়।

অপহৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাশিদুল ইসলাম (৩৫) ও আতাউর রহমান (৩২)। তারা শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি ও টেংরাখালী গ্রামের বাসিন্দা। রাশিদুল ও আতাউরের পিতার নাম যথাক্রমে মান্নান বরকন্দাজ ও সামছুর রহমান। অপর চারজন জেলের নাম এখনো জানা যায়নি। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌকা মালিক মমতাজ ভাঙি মোশারফ হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের এত কাছে জেলেদের অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। একপর্যায়ে পুলিশ ও শতাধিক গ্রামবাসী যৌথভাবে জলদস্যুদের উদ্দেশে রওনা হলেও বিজিবি সদস্যরা তাদের মাঝপথে আটকে দেয়।

অপহৃত জেলেদের সহযোগীরা দাবি করেছেন, জলদস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জিম্মি করেছে। জলদস্যুদের একটি নয় সদস্যের দল চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ভারতীয় নৌযান নিয়ে হামলা চালায়। সকালের দিকে দুজনকে মাছের নৌকা থেকে তুলে নেওয়ার পর দুপুরের সময় চারটি পৃথক নৌকা থেকে আরও চারজনকে জিম্মি করে।

টেংরাখালী গ্রামের নুরুল হক জানান, দুই দিন আগে বনবিভাগের অনুমতিপত্র নিয়ে তারা তিনজন বনে গিয়েছিলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে জলদস্যুরা একটি বড় ভারতীয় নৌকা নিয়ে আসে এবং অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা তিনজন নৌকা ত্যাগ করে বনের ভিতরে চলে গেলে, জলদস্যুরা শুধু নৌকা নিয়ে চলে যায়।

অপরদিকে বৈকেরির হরিণটানা খাল থেকে আরও চারজন জেলেকে একই জলদস্যু দল অপহরণ করে। জলদস্যুরা নিজেদের ‘কাজল-মুন্না বাহিনী’ হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে। ইতোমধ্যেই মুক্তি পাওয়া স্থানীয় কিছু জেলে নিশ্চিত করেছেন, এই জলদস্যুরা ভারতীয়। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া তাদের তিন সহযোগী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তারা মুক্তিপণের টাকা ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল।

স্থানীয় রমজাননগর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লাল্টু জানান, মুক্তিপণের জন্য ছয় জেলেকে অপহরণের খবর পেয়ে গ্রামের মানুষ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। তবে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় তাদেরকে পথিমধ্যে থামিয়ে দেওয়া হয়।

শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, দুই সপ্তাহ আগে যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে একই জলদস্যু বাহিনীর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বুধবার আরও কয়েকজন জেলের অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ পরিবার ও গ্রামবাসীর সঙ্গে ঘটনা স্থলের উদ্দেশে রওনা হয়, তবে পরে ফিরে আসে।

Link copied!