দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। চলতি সপ্তাহে টানা তিন দফায় ভরিপ্রতি মোট ৪ হাজার ১৮৭ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন দাম কার্যকরের ঘোষণা দেয়। সর্বশেষ সমন্বয়ে ভরিপ্রতি ১ হাজার ৪৭০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস জানিয়েছে, ভরিপ্রতি এই মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং সংগঠন নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে ৩০ আগস্ট স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিপ্রতি ১ হাজার ৬৬৭ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আরও আগে, ২৬ আগস্ট ভরিপ্রতি দাম নির্ধারণ হয়েছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫১ টাকা। এরও আগে, ২৪ জুলাই এক দফায় দাম কমিয়েছিল বাজুস, তখন ভরিপ্রতি ১ হাজার ৫৭৪ টাকা হ্রাস করে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা।
২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত মোট ৪৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ বার দাম বেড়েছে এবং মাত্র ১৬ বার কমেছে। গত বছর (২০২৪ সালে) মোট ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার দাম বেড়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম বারবার পরিবর্তিত হলেও দেশে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
চলতি বছর স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। বৈশ্বিক বাজার ও স্থানীয় চাহিদার প্রভাবেই বারবার সমন্বয় করছে বাজুস। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য গহনা কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দেশের বাজারেও স্বর্ণের দামের ওঠানামা অব্যাহত থাকবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন