মাস্টারকার্ড ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইসিএমএবি) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট ২০২৫’। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে আয়োজন করে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট ২০২৫’।
‘দ্য ইন্টারসেকশন অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই সম্মেলনে ব্যাংক ও ফিনটেক খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও নীতিনির্ধারকেরা একত্রিত হয়ে ক্যাশলেস অর্থনীতির সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।
সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
উদ্বোধনী আলোচনায় ছিল ‘ক্যাশলেস অর্থনীতি গঠনে ফিনটেকের ভূমিকা’। এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ড. এম. মাসরুর রিয়াজ।
এ প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. শারাফাত উল্লাহ খান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বিকাশ লিমিটেডের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহমেদ, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের পরিচালক জাকিয়া সুলতানা এবং সেবা প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা আদনান ইমতিয়াজ হালিম।
তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও একটি নিরবচ্ছিন্ন ক্যাশলেস ইকোসিস্টেম গড়ার ক্ষেত্রে ফিনটেকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
সামিটের শেষ পর্বে সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ‘রেগুলেটরি রিফর্মস ও পলিসি রোডম্যাপ ফর অ্যা ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এই প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাসরুর আরেফিন, দ্যা লিগ্যাল সার্কেলের প্রতিষ্ঠাতা অনিতা গাজী রহমান।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, উদ্ভাবন ও ভোক্তা সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে অগ্রগতিমূলক সংস্কার, রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স এবং সহায়ক কর কাঠামো অপরিহার্য। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্স ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করবে এবং দেশকে ক্যাশলেস উদ্ভাবনে আঞ্চলিক নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে যাবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন