ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

মেসির মায়ামিকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০২:৪৮ এএম
৪ গোলে মেসিদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেঙে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি। ছবি: সংগৃহীত

একটি ম্যাচে বল দখল, গতি আর গোল সব কিছুতেই প্রাধান্য দেখাল পিএসজি। আর তা-ই যেন মাটিতে নামিয়ে আনল লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামিকে। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে একতরফা লড়াইয়ে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে মার্কিন ক্লাবটিকে।

আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল পিএসজির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার হোয়াও নেভেস গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।

এরপর ৩৯তম মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো জালে বল জড়ান তিনি। ৪৪তম মিনিটে ইন্টার মিয়ামির ডিফেন্ডার থমাস অ্যাভিলেস আত্মঘাতি গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+৩ মিনিট) চতুর্থ গোলটি করেন মরক্কোর রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমি।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। যদিও মেসি বেশ কয়েকবার একক প্রচেষ্টায় পিএসজির রক্ষণভাগ ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন। সুয়ারেজকে দিয়ে সুযোগ তৈরি করতেও চেয়েছিলেন। একটি শট ও একটি দুর্দান্ত হেডও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ডোনারুমা ছিলেন দুর্ভেদ্য। ইতালিয়ান গোলরক্ষকের ক্ষিপ্রতায় মেসির সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়।

এই ম্যাচ ছিল ২০২৩ সালে মেসির পিএসজি ছেড়ে আসার পর এই প্রথম তার সাবেক ক্লাবের মুখোমুখি হন তিনি। কিন্তু ফেরা হলো না বিজয়ের হাসি নিয়ে। উল্টো প্রথম দেখাতেই তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। খালি হাতেই বিদায় নিতে হলো টুর্নামেন্ট থেকে।

ম্যাচের পরিসংখ্যানও ইন্টার মিয়ামির দুরবস্থা স্পষ্ট করে দেয়। বল দখলের লড়াইয়ে পিএসজির নিয়ন্ত্রণ ছিল ৬৭ শতাংশ, ইন্টার মিয়ামির মাত্র ৩৩। গোলের উদ্দেশে পিএসজির শট ছিল ৯টি, যেখানে মিয়ামি শট নিতে পেরেছে মাত্র ৩ বার।

লুইস অ্যানরিখের দল মাঠে যেমন আধিপত্য বিস্তার করেছে, স্কোরবোর্ডেও তেমনই প্রতিফলন ঘটেছে। আর মেসির ইন্টার মিয়ামি নকআউট পর্ব থেকেই মুখ নিচু করে ফিরেছে।