প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে গত দেড় মাস ধরে আন্দোলন করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আদায়ে নজিরবিহীন ধস নেমেছে। গতকাল রোববার এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
পাশাপাশি দ্বিতীয় দিনের মতো সারা দেশে সব কাস্টম ও কর অফিসে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করে। এদিন সংকট সমাধানে বৈঠক আহ্বান করলেও আন্দোলনকারীদের শর্তে তা বাতিল করেন অর্থ উপদেষ্টা। এদিকে রাজস্ব আয়ের বড় লক্ষ্যমাত্রার ঘাটতির মধ্যেই আজ সমাপ্ত ঘটছে চলতি অর্থবছরের শেষ দিন।
আজও শাটডাউন কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীদের সংগঠন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। তবে এই অচলাবস্থা নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
একই সঙ্গে সব অংশীজনের পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এনবিআরের আওতাধীন সব কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জানা যায়, গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে এনবিআর বিলুপ্তি রোধসহ কয়েকটি দাবিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন।
গত ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশটি সংশোধন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ২২ জুন থেকে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত শনিবার সারা দেশে এনবিআরের কর, মূসক ও শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমপ্লিট শাটডাউন এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করেন।
গতকাল রোববার সকালে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে দুপুরে এই আন্দোলন স্থগিত করেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা। তবে শাটডাউন কর্মসূচির কারণে বন্ধ ছিল ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশন। এতে সারা দেশের সব বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়।
শাটডাউন কর্মসূচির কারণে বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ফলে ৩ হাজার ৬৮০ একক কনটেইনার পণ্য রপ্তানি করা যায়নি। তিনটি জাহাজে এসব পণ্য রপ্তানি করার কথা ছিল। শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম জুয়েল বলেন, ‘রপ্তানি পণ্য প্রথমে কারখানা থেকে চট্টগ্রামের ১৯টি ডিপোতে আনা হয়।
সেখানে শুল্কায়নের পর কনটেইনারে রাখা হয় সব পণ্য। পরে বুকিং অনুযায়ী বন্দরে এনে জাহাজে তুলে দেওয়া হয় রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার।’
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কমপ্লিট ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে ব্রহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। রোববার সকাল থেকে বন্দর দিয়ে ভারতে কোনো পণ্য রপ্তানি হয়নি৷ এ ছাড়া বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানিও।
স্থবির হয়ে পড়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। ফলে পণ্য শুল্কায়ন, পরীক্ষণ ও লোড আনলোড বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল থেকে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। কমপ্লিট শাটডাউন পালনের জন্য কাস্টম হাউস গেটে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ না করায় বন্দরে পণ্যজট দেখা দিচ্ছে। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশের প্রবেশের অপেক্ষায় ৮০০টি পণ্যবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। এনবিআর কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির ফলে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর।
ফলে দুদিনে প্রায় দুই কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে ভোমরা বন্দরে রাজস্ব কর্মকর্তাদের অধিকাংশই অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় ভারত থেকে কোনো ট্রাক যেমন বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি; কোনো মালবাহী বাহন ভারতেও যেতে পারেনি। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস) বন্ধ রয়েছে। এতে এই স্থলবন্দরের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা পড়েছেন ক্ষতির মুখে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাডডাউনে’র প্রথম দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে সীমিত পরিসরে আমদানি চালু থাকলেও গতকাল রোববার পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এতে বড় লোকসানে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে অফিস খোলা থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চেয়ারগুলো ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনেও স্থবিরতা কাটেনি। কর্মবিরতির ফলে গতকাল রোববার সকাল থেকে কোনো আমদানি-রপ্তানি হয়নি।
তবে গত শনিবার ভুটান থেকে আমদানি করা ১৫১টি পাথরবোঝাই ট্রাক কাস্টমসের ছাড়পত্র না পাওয়ায় বন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়েছে। স্থলবন্দর সূত্র জানায়, দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি পাথর আমদানিনির্ভর একটি শুল্ক স্টেশন। এখানে সীমিত পরিসরে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।
তবে ভারত ও ভুটান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ ট্রাক পর্যন্ত পাথর আমদানি করা হয়। গত দুইদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মসূচির ফলে আমদানি করা পাথরের ট্রাক থেকে পাথর খালাস করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক, শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে ঐক্য পরিষদের বৈঠক বাতিল
চলমান অচলাবস্থা নিরসনের উপায় খুঁজতে গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আন্দোলনরত এনবিআর কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের এক ঘণ্টা আগেই হঠাৎ করে বৈঠক বাতিলের সংবাদ আসে গণমাধ্যমে।
এ বিষয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব শফিউল বাসার বাদল এ বিষয়ে বলেন, আমাদের অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বসার কথা ছিল। এজন্য আমরা মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি স্থগিত করি। আমাদের একটা প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত না করলে তিনি আলোচনায় বসবেন না। আমরাও কর্মসূচি স্থগিত করে আলোচনায় বসব না। তিনি বলেন, আবার ষড়যন্ত্রের মধ্যে পড়তে চাই না। কর্মসূচি চলমান অবস্থায় আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, অর্থ উপদেষ্টা এমন কোনো শিডিউল দেননি। বৈঠকের বিষয়টি আমরা জানি না।
আজও চলবে শাটডাউন কর্মসূচি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান শাটডাউন কর্মসূচি আজ সোমবারও চলবে জানিয়েছেন যুগ্ম কর কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা। রোববার বিকেলে দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি জানান, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও যৌক্তিক সংস্কার না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। যদি সন্ধ্যা বা রাতে কোনো সিদ্ধান্ত আসে তাহলে আপনাদের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
কঠোর হতে বাধ্য হবে সরকার
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যে সংস্থাটির সেবাকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল রোববার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের তরফে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান রাখার জাতীয় স্বার্থে সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন সব কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, “বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নমুখী কার্যক্রম পরিচালনার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো দুর্বল রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের রাজস্ব সংগ্রহ অনেক কম। এর মূল কারণ হলো আমাদের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার নানা দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সব অংশীজনের পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, রাজস্ব সংস্কারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ নজিরবিহীনভাবে গত ২ মাস ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অন্যায় ও অনৈতিকভাবে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে আন্দোলনের নামে চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।
সংস্কারের বিরোধিতা ছাড়াও অর্থ বছরের শেষ ২ মাসে তারা রাজস্ব আদায় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক, যা জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক অধিকারের চরম পরিপন্থি। সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয় এবং আলোচনায় আসার আহ্বান জানালেও তারা তা অগ্রাহ্য করে।
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান না করে তারা আন্দোলনের নামে অনমনীয় অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে চলেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনতিবিলম্বে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার আশা করে, তারা আইনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসবেন। অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। তবে কমিটিতে কারা আছেন এবং কমিটির কার্য পরিধি কী হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এনবিআর কীভাবে সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে কমিটি আলাপ-আলোচনা করবে। তারা সবার কথা শুনবে। ৫ সদস্যের কমিটিতে কারা কারা আছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কমিটিতে কারা আছেন তাদের নাম আমি এখন বলব না।
এনবিআরের ৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক, যারা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওটা আমার কনসার্ন ডিপার্টমেন্ট না।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান, আইসিসিবির সহসভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন।
লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, মেট্রো পলিটন চেম্বারের (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান, এমসিসিআইর সহসভাপতি ও ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতির তাসকিন আহমেদ প্রমুখ। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানও উপস্থিত ছিলেন।